12:47 pm, Thursday, 21 November 2024

শ্রীপুরে অপহরণের ১২ দিনেও উদ্ধার হয়নি মাদ্রাসা ছাত্রী

  • Reporter Name
  • Update Time : 02:35:37 pm, Sunday, 25 February 2024
  • 6 Time View

শ্রীপুরে অপহরণের ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো উদ্ধার হয়নি মোছা. লাবনী খাতুন (১৫) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রী। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রীপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা করা হয়েছে। তার সন্ধান দিতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, লাবনী খাতুন শ্রীপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মো. জলিল মোল্যার মেয়ে। সে তখলপুর হাতেম আলী দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি লাবনী। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।

www.fm24news.com

এর দুইদিন পর জলিল মোল্যা জানতে পারেন, তার মেয়ে ওইদিন বাড়ি থেকে বের হয়ে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে ফুলতলা মোড়ে পৌঁছানোর আগে শিবলু মোল্যা (২৮) নামে এক যুবক দলবল নিয়ে তাকে অপহরণ করেছে। পরে ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি বাদী হয় চার জনের নাম উল্লেখ করে শ্রীপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।

এ মামলায় শ্রীপুর উপজেলার তখলপুর গ্রামের বিষে মোল্যার ছেলে শিবলু মোল্যা (২৮), মেয়ে সোহাগী আক্তার মীম (২৫), মো. পিয়ারুল ইসলাম (২৮), মোহাম্মদ আলী জোয়ার্দার (২৮) কে আসামি করা হয়।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিবলু মোল্যা পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। সে বিভিন্ন ছলনায় স্কুল ছাত্রী লাবনীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে নিয়ে তিনি ভারতের বম্বেতে পাড়ি দেয়। এবং বর্তমানে তারা ভারতের বম্বে অবস্থান করছে৷ তার কাজই মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করা। এভাবেই সে ৩ টি বিয়ে করেছে। দুই স্ত্রী তাকে ছেড়ে গেলেও সে দুই সন্তানের জননী স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করছিলো।

জলিল মোল্যা বলেন, আমার মেয়েকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেও তার কোনো সন্ধান পাইনি। আমি আমার মেয়েকে ফেরত চাই।

অভিযুক্ত শিবলু মোল্যার মা আকলিমা বেগম জানান, আমার ছেলে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। আমার ছেলে ৩ টা বিয়ে করেছে। সে ঘসিয়াল শ্বশুর বাড়িতে থাকতো। মাঝে মধ্যে বাড়িতে আসতো। এখন কোথায় আছে জানি না।

তখলপুর হাতেম আলী দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার জহুরুল ইসলাম জানান, লাবনী খাতুন আমাদের মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে মাদ্রাসায় নিয়মিত আসতো না। সর্বশেষ সে ১১ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসায় আসছিলো। মাদ্রাসায় দুই-তিন দিন মাদ্রাসায় না আসলে আমরা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে খোঁজখবর নিয়ে থাকি। তার খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।

হাতেম আলী দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী মায়া খাতুন ও সুমী খাতুন জানান, সে নিয়মিত মাদ্রাসায় আসতো না। আর কোন বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করতো না।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম জানান, ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

শ্রীপুরে অপহরণের ১২ দিনেও উদ্ধার হয়নি মাদ্রাসা ছাত্রী

Update Time : 02:35:37 pm, Sunday, 25 February 2024

শ্রীপুরে অপহরণের ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো উদ্ধার হয়নি মোছা. লাবনী খাতুন (১৫) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রী। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রীপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা করা হয়েছে। তার সন্ধান দিতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, লাবনী খাতুন শ্রীপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মো. জলিল মোল্যার মেয়ে। সে তখলপুর হাতেম আলী দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি লাবনী। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।

www.fm24news.com

এর দুইদিন পর জলিল মোল্যা জানতে পারেন, তার মেয়ে ওইদিন বাড়ি থেকে বের হয়ে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে ফুলতলা মোড়ে পৌঁছানোর আগে শিবলু মোল্যা (২৮) নামে এক যুবক দলবল নিয়ে তাকে অপহরণ করেছে। পরে ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি বাদী হয় চার জনের নাম উল্লেখ করে শ্রীপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।

এ মামলায় শ্রীপুর উপজেলার তখলপুর গ্রামের বিষে মোল্যার ছেলে শিবলু মোল্যা (২৮), মেয়ে সোহাগী আক্তার মীম (২৫), মো. পিয়ারুল ইসলাম (২৮), মোহাম্মদ আলী জোয়ার্দার (২৮) কে আসামি করা হয়।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিবলু মোল্যা পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। সে বিভিন্ন ছলনায় স্কুল ছাত্রী লাবনীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে নিয়ে তিনি ভারতের বম্বেতে পাড়ি দেয়। এবং বর্তমানে তারা ভারতের বম্বে অবস্থান করছে৷ তার কাজই মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করা। এভাবেই সে ৩ টি বিয়ে করেছে। দুই স্ত্রী তাকে ছেড়ে গেলেও সে দুই সন্তানের জননী স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করছিলো।

জলিল মোল্যা বলেন, আমার মেয়েকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেও তার কোনো সন্ধান পাইনি। আমি আমার মেয়েকে ফেরত চাই।

অভিযুক্ত শিবলু মোল্যার মা আকলিমা বেগম জানান, আমার ছেলে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। আমার ছেলে ৩ টা বিয়ে করেছে। সে ঘসিয়াল শ্বশুর বাড়িতে থাকতো। মাঝে মধ্যে বাড়িতে আসতো। এখন কোথায় আছে জানি না।

তখলপুর হাতেম আলী দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার জহুরুল ইসলাম জানান, লাবনী খাতুন আমাদের মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে মাদ্রাসায় নিয়মিত আসতো না। সর্বশেষ সে ১১ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসায় আসছিলো। মাদ্রাসায় দুই-তিন দিন মাদ্রাসায় না আসলে আমরা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে খোঁজখবর নিয়ে থাকি। তার খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।

হাতেম আলী দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী মায়া খাতুন ও সুমী খাতুন জানান, সে নিয়মিত মাদ্রাসায় আসতো না। আর কোন বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করতো না।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম জানান, ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।