চুয়াডাঙ্গায় টিকটকার খালেদা আক্তার মুন্নী হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। শারীরিক সম্পর্কের পর চুক্তির টাকা দিতে না পারায় দুই যুবক টিকটকার মুন্নীকে হত্যা করে। খুনের সঙ্গে জড়িত দুই ঘাতককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় টিকটকার খালেদা আক্তার মুন্নী হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। শারীরিক সম্পর্কের পর চুক্তির টাকা দিতে না পারায় দুই যুবক টিকটকার মুন্নীকে হত্যা করে। খুনের সঙ্গে জড়িত দুই ঘাতককে গ্রেফতার করা হয়েছে।গ্রেফতার হওয়া মানিক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি শেখপাড়ার টোকন আলীর ছেলে এবং একই এলাকার মহিদুল ইসলামের ছেলে পারভেজ মহসিন ওরফে স্বপন।নিক ও স্বপনের কাছ থেকে মুন্নীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও একটি স্বর্ণের আঙটিসহ বেশকিছু আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মানিক (২২) ও স্বপনের (১৯) সঙ্গে ২০ হাজার টাকার চুক্তিতে শারীরিক সম্পর্কে রাজি হন টিকটকার খালেদা আক্তার মুন্নী। চুক্তি অনুযায়ী গত ৯ নভেম্বর সন্ধ্যার পরপরই চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পিটিআই মোড়ে অপেক্ষা করতে থাকেন মুন্নী। স্বপন মোটরসাইকেল যোগে মুন্নীকে নিয়ে যায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের নিকটবর্তী বোয়ালমারী শ্মশান মাঠের একটি পানবরজের কাছে। সেখানে মুন্নীর সঙ্গে প্রথমে স্বপন ও পরে মানিক শারীরিক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে চুক্তির ২০ হাজার টাকার পরিবর্তে দুজন মিলে মুন্নীকে পাঁচ হাজার টাকা ধরিয়ে দেয়। এতে মুন্নী ক্ষুব্ধ হয়ে চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মুন্নীকে হত্যা করে পানবরজের ঝোঁপের ভেতর লাশ রেখে দুজনই পালিয়ে যায়। মুন্নীকে হত্যার পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নেয় স্বপন এবং স্বর্ণের আঙটিসহ অন্য জিনিসগুলো নেয় মানিক।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি-বোয়ালমারী গ্রামের মাঝামাঝি স্থান থেকে খালেদা আক্তার মুন্নীর (২২) বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার হয়। তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাঙবাড়িয়া গ্রামের মৃত খোয়াজ আলীর মেয়ে। মুন্নী স্বামী পরিতক্ত্যা এবং টিকটকার ছিলেন।